নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চুরি ঠেকানোর জন্য হোটেলের টিনের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়েছিলেন মালিক। আর সেই টিনের সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হয়ে রাব্বি (১৭) নামের এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে হোটেল মালিক পলাতক রয়েছেন।
গতকাল রোববার উপজেলার জোড্ডা বাজারের মালিক আব্দুল হকের মুক্তা হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাব্বি জোড্ডা পূর্ব ইউপির জোড্ডা গ্রামের পশ্চিম ঈদগা বাড়ির জাকের হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছে, আব্দুল হকের মুক্তা হোটেলটিতে পরপর কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে আব্দুর হক চোর ধরতে প্রতি রাতে দোকানের টিনে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে বাড়িতে চলে যান। প্রতিদিনের মত ওইদিনও কাজ করতে রাব্বি বাড়ি থেকে হোটেলে যায়। দোকান পরিষ্কার শেষে পানির টাংকি ভরাট করার জন্য মোটর পাম্পের সুইচ দেওয়ার জন্য গেলে টিনে হাত লেগে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। হোটেল মালিক আব্দুল হক রাব্বির পরিবারকে খবর দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করে ৩টার দিকে মরদেহ দাফন করে ফেলতে বলেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য জানান এবং কিছু টাকা দেবেন বলে জানান। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন বিকেলে নিহতের বাড়ি গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত শ্রমিক রাব্বির নানা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার নাতিকে আমার মেয়ে শিল্পী ঘুম থেকে ডেকে দোকানে পাঠায়। এর আধ-ঘণ্টা পর আমার মেয়ের কাছে ফোন করে বলে রাব্বিকে কারেন্টে শক করছে। রাব্বিই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগার করা ব্যক্তি। শুনেছি, হোটেলে প্রায় সময় চুরি হতো। চোর ধরতে মালিক বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট দিয়ে প্রতিদিন দোকান বন্ধ করত। সেই শর্টসার্কিট সার্কিটে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) কানন চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page